22 October 2020

করোনা পরিস্থিতি এবং গ্রামীণ মানুষদের জীবিকার দুরাবস্থা

COVID মহামারী এবং লকডাউন মানুষের জীবিকাকে অপূরণীয় ভাবে ক্ষতি করেছে। মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষুধা রয়েছে এবং আমরা আগামী দিনগুলিতে আশঙ্কা করছি যে অপুষ্টি ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে কিছু বড় কোম্পানী এই পরিস্থিতিতেও বিশাল মুনাফা অর্জন করছে।

সরকারের কাছে ক্ষুধা নিবারণের জন্য পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজুর সমিতি বারবার রেশন ব্যবস্থা দ্বারা সকলের জন্য চাল, ডাল এবং রান্নার তেল বিনা মূল্যে যাতে পায় সেটা নিয়ে বলছে। আমরা বেশি মজুরি নিয়ে নারেগা (NREGA) অধীনে আরও কাজ করার দাবি জানাচ্ছি এবং সরকারের কাছে সর্বজনীন  ন্যূনতম আয়ের জন্য বলছি।

এর পাশাপাশি আমরা গঠনমূলক কার্যক্রম গ্রহণেরও পরিকল্পনা করি। তাই পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেতমজুর সমিতি  তার সদস্যদের উঠোনে পুষ্টি বাগান শুরু করতে সহায়তা করার জন্য একটি প্রোগ্রাম শুরু করেছি  , যাতে প্রতিটি পরিবারের জন্য তাজা শাকসব্জি সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়। 


বড় বড় কোম্পানীগুলি যারা বিশাল লাভ করার জন্য জিনিসগুলি আমাদের জোর করে নেওয়া  করায় , আমরা আমাদের বড় কোম্পানীর উপর নির্ভরতা হ্রাস করার জন্য আমরা কোন জৈবিক সার ও বীজ তাদের থেকে কিনব না। আমরা যে বাগান টি বানাবো সেটাই কোন রাসায়নিক সার বাবহার হবে না, সেই বাগান এ জৈবিক সার ও দেশী বীজ বাবহার করা হবে।

১০/১০/২০২০ থেকে ১২ /১০/২০২০ তারিখে  জন সংহতি কেন্দ্রে (বাদু ,মহেশ্বরপুর বারাসাত-৭০০১২৮) একটি ৩ দিনের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের  আয়োজন করা হয়েছিল । প্রশিক্ষণের লক্ষ্য হলো  COVID 19 সঙ্কটের সময় জৈব পুষ্টি বাগানের মাধ্যমে আমাদের সদস্য পরিবারগুলির খাদ্য সুরক্ষা কিছুটা সুরক্ষিত করা।  

এই প্রোগ্রামের জন্য 5 টি জেলা  থেকে ২৬ জন প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণে ভাগ নিয়েছিল , জেলা গুলি হলো দক্ষিণ ২৪ পরগণা, নদিয়া , উত্তর ২৪ পরগণা,  বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই জেলাগুলিতে আমাদের সমস্ত সদস্য পরিবার গুলিকে পুষ্টি বাগান করতে সাহায্য করা। প্রথমে ৬০০০ পরিবার কে জৈব পুষ্টি বাগানের মাধ্যমে পুষ্টি সুরক্ষা প্রশিক্ষণ দেওয়া ও তাদেরকে পুষ্টি বাগানের জন্য ভাল বীজ দেওয়া হবে যাতে তারা ভালো ফলন পেতে পারে । প্রত্যেক প্রশিক্ষক প্রথমে ২০০ পরিবারকে প্রশিক্ষণ দেবে  এবং তাদের তদারকি করবে।

প্রশিক্ষণের লক্ষ্য হলো নিম্নলিখিত বিষয়গুলি:

•ভালো গুণমান সব্জি ফলন। 

•দীর্ঘ মেয়াদী মাটির উর্বরতা বজায় রাখা । 

•বর্জ্য পুনরায় ব্যবহার করা। 

•দূষণ মুক্ত পরিবেশ। 

•বাজার নির্ভরতা হ্রাস

•খাদ্য নিরাপত্তা

No comments:

Post a Comment